Skip to main content

কখন দোয়া কবুল হয়?

কোরয়ান থেকে জেনে নিই কিভাবে কার নিকট দোয়া করতে হবে এবং কি করলে দোয়া কবুল হবে।

আপনি আপনার পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন এবং একাগ্রচিত্তে তাতে মগ্ন হন! তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। অতএব তাঁকেই গ্রহণ করুন, কর্ম বিধায়করূপে।

-সুরা: মুজ্জাম্মেল, ৮-৯

তিনি মোমিন ও সৎকর্মশীলদের দোয়া শোনেন এবং তাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।

-সুরা: শুরা, ২৬।

যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তাদের জন্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।

-সুরা: ত্বিন, ৬

তিনি চিরঞ্জীব। তিনি ব্যাতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই ডাক তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহরই জন্যে।

-সুরা: আল্‌ মু'মিন, ৬৫

আর আমার বান্দারা যখন আমার ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন (আপনি বলুন) আমি তো নিকটেই রয়েছি। প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে তখন আমি তাদের প্রার্থনা কবুল করি। কাজেই আমার ডাকে সাড়া দেওয়া এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা তাদের উচিত। আশা করা যায় তারা সৎপথ পাবে।

-সুরা: আল্‌ বাকারা, ১৮৬।

হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য লাভের জন্যে অসিলা অনুসন্ধান কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

সুরা: আল্‌ মায়েদা, ৩৫

নোটঃ 'অসিলা' শব্দের অর্থ সংযোগ স্থাপন করা। অসিলা সেই বস্তুকে বলা হয়, যা একজনকে অপরজনের সহিত আগ্রহ ও সম্প্রীতি সহকারে সংযুক্ত করে দেয়।

ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ কবুল করলে কোরয়ান থেকে দোয়া সমূহ ধাপে ধাপে পোস্ট করবো।

হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। 2-127



সম্মানিত কোরয়ান প্রেমী ভাই ও বোনেরা, আপনারা চাইলে আমাদের গ্রুপে এড হয়ে কোরয়ানের আলোচনা আরো বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেন। 

লিংকঃ সিরাতল মুস্তাকিম - Siratal Mustakim - صِّرَاطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ

Comments

Popular posts from this blog

কোরয়ান অনুযায়ী দুরূদ

আমার দৃষ্টিতে কোরয়ানে মহান আল্লাহর প্রেশ করা আয়াতকেই আমরা দুরুদ হিসাবে ব্যবহার করতে পারি। যেমন সূরা সাফফাত এর এই আয়াতগুলো হতে পারে। যদিও এর বাহিরেও হতে পারে।  আয়াতঃ সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইযযাতি আম্মা ইয়াসিফুন। ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিন । ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন । অর্থঃ তারা যা আরোপ করে তা হতে পবিত্র ও মহান তোমার রাব্ব, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলগণের প্রতি। আর যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই। সূরা সাফফাত ১৮০–১৮২ কেন এই আয়াতের পক্ষে আমার মতামত? আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য আয়াতে বলেছেন আমরা যাতে রাসূলগণের মাঝে তারতম্য না করি। তাদের উপর ঈমান আনতে বলা হয়েছে। তাদের উপর দুরুদ পেশ করতে বলা হয়েছে। অতচ প্রচলিত হাদিসের দুরুদ অনুযায়ী আমরা শুধু সালামুন আলা ইব্রাহিম ও সালামুন আলা মোহাম্মদ কে স্বরণ করি।  অতচ দেখুন, উপরের তিন আয়াতে আমরা সকল নবীদের সালাম জানাতে পেরেছি। এর আগের আয়াতে আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করেছি এবং শেষের আয়াতে আল্লাহর প্রশংসা করা হয়েছে।  এরকম আরও আয়াত আছে। হ্যা, কোরয়ানে নবীজির উপরেও সালাম দিতে বলা হয়েছে। নবীজিকে সালাম দিলে ...